- রাতে শুয়ে শুয়ে ফেসবুকে নিউজফিড
দেখছে আকাশ । হঠাত একটা অচেনা
মেয়ের আইডি থেকে মেসেজ আসলো
আইডি নামটা ছিলো রিচি ।
-
হাই -(রিচি)
হ্যালো- (আকাশ)
কেমন আছেন - ( রিচি)
ভালো, আপনি - ( আকাশ )
এভাবে চললো তাদের প্রথম দিনের
চ্যাটিং ।
এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিন চলছে
তাদের মেসেজ আদান-প্রদান ।
একসময় তাদের ফোন নাম্বারটি দেয়া
নেয়া হয় । এরপর ফেসবুকের পাশাপাশি
ফোনে কথা হতো তাদের সব সময় ।
প্রায় ৬ মাস চলছে তাদের এই এই
কথাবার্তা । তবে কেউ কাউকে সত্যি
পরিচয় এখনো দেয় নি । এর মধ্যে রিচি
দেখা করার কথা বলেছে, আকাশ রাজি
হয়নি প্রথমে পরে অবশ্য রিচির
জোরাজুরি তে রাজি হলো । ইদানীং
রিচির কথা ফেলতে পারে না আকাশ ।
আকাশের মনে হয় সে মেয়েটাকে
ভালোবেসে ফেলেছে ।
-
রিচি দেখা করার জায়গার নাম বলে ।
ঠিক সময় আকাশ এসে হাজির কিন্তু
রিচি আসছে না । রিচি আকাশকে একটা
নীল শার্ট পড়ে আসতে বলেছে ।
কিছুক্ষন পর দেখলো নীল শাড়ী পড়া
একটা পরী আসছে অসম্ভব সুন্দর ।
আকাশ মেয়েটাকে দেখে হা করে তাকিয়ে
রইলো । মেয়েটা তার দিকেই আসছে
কিন্তু আকাশের শুধু মেয়েটার অপরুপ
চোখের দিকে হা করে তাকিয়েই আছে ।
মেয়েটা ছিলো রিচি । আকাশ কে দেখেই
চিনতে পেরেছে । আকাশের কাছে এসে হা
করে থাকতে দেখে হেসে ফেললো রিচি ।
তারপর দু জনের মাঝে অনেকক্ষণ কথা
হলো । রিচি আকাশ দের পাশের বাড়িতে
নতুন এসেছে তাও বললো । আকাশ বার
বার রিচির মায়াবি চোখের দিকে
তাকাচ্ছে । মনে হচ্ছে আকাশ রিচির
প্রেমে পড়ে গেছে । আকাশ চিন্তা
করছে কিভাবে রিচি কে বলবে
ভালোবাসি কথাটা ।
-
এরমধ্যে আকাশ পড়ালেখা শেষ করে
সেনাবাহিনী তে অফিসার ক্যাডেটে
চাকরি পেলো । এদিকে রিচির সাথেও
যোগাযোগ কমে গেছে । আকাশ একদিন
ছুটি তে বাড়িতে আসে এবং ইতিমধ্যে
তার মা-বাবা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে ।
আকাশ তার মা কে রিচির কথা বললো
এবং তার মা শুনেই ওইদিন বিকেলে
রিচির বাড়ি প্রস্তাব নিয়ে যায় ।
রিচির মা-বাবাও রাজি হলো । রিচি রা
গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠান করবে, তাই
গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে । এরমধ্যে
আকাশের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে
সম্পর্ক হলো রিচির । একজন
আরেকজনের সাথে কথা বলা ছাড়া এক
মুহুর্ত থাকতে পারে না । শাসন বারনও
বেশ চলছে । । সকল কিছুর অবসান
ঘটিয়ে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে
হলো তাদের । আকাশ-রিচি গাড়িতে
করে আসছে , কথা বলছে দু জনেরই
লজ্জা চোখে তাকাচ্ছে একজন
আরেকজনের দিকে । এসময় একটি লরি
এসে ধাক্কা মারে তাদের গাড়িকে । কিছু
বুঝে উঠার আগেই ঘটে যায় ঘটনাটি ।
আকাশ ও রিচি গুরুতর আহত । তবে
রিচি একটু বেশি আহত, রিচির দুই চোখ
গাড়ির কাচ পরে নষ্ট হয়ে গেছে ।
আকাশ এই কথা শুনে পাগলের মতো
প্রায় । এরপর ডাক্তার বললো কেউ
চোখ দান করলে রিচি দেখতে পাবে
আবার ।
-
কাউকে কিছু না জানিয়েই আকাশ
ডাক্তারের সাথে কথা বলে রিচিকে তার
নিজের একটি চোখ দিয়ে দেয় । রিচি
সুস্থ হবার পর জানতে পারে আকাশই
তাকে চোখ দিয়েছে । এই কথা শুনে
কান্না করছে খুব রিচি । আকাশ এসে
রিচিকে জড়িয়ে ধরে বলে পাগলি খুব
ভালোবাসি তোমাকে । আমার
ভালোবাসার মানুষ আমাকে দেখবে না তা
কি করে হয় বলো ।
-
আসলে এটাই সত্যিকারের ভালোবাসা
♥ ♥
রাতে শুয়ে শুয়ে ফেসবুকে নিউজফিড
দেখছে আকাশ । হঠাত একটা অচেনা
মেয়ের আইডি থেকে মেসেজ আসলো
আইডি নামটা ছিলো রিচি ।
-
হাই -(রিচি)
হ্যালো- (আকাশ)
কেমন আছেন - ( রিচি)
ভালো, আপনি - ( আকাশ )
এভাবে চললো তাদের প্রথম দিনের
চ্যাটিং ।
এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিন চলছে
তাদের মেসেজ আদান-প্রদান ।
একসময় তাদের ফোন নাম্বারটি দেয়া
নেয়া হয় । এরপর ফেসবুকের পাশাপাশি
ফোনে কথা হতো তাদের সব সময় ।
প্রায় ৬ মাস চলছে তাদের এই এই
কথাবার্তা । তবে কেউ কাউকে সত্যি
পরিচয় এখনো দেয় নি । এর মধ্যে রিচি
দেখা করার কথা বলেছে, আকাশ রাজি
হয়নি প্রথমে পরে অবশ্য রিচির
জোরাজুরি তে রাজি হলো । ইদানীং
রিচির কথা ফেলতে পারে না আকাশ ।
আকাশের মনে হয় সে মেয়েটাকে
ভালোবেসে ফেলেছে ।
-
রিচি দেখা করার জায়গার নাম বলে ।
ঠিক সময় আকাশ এসে হাজির কিন্তু
রিচি আসছে না । রিচি আকাশকে একটা
নীল শার্ট পড়ে আসতে বলেছে ।
কিছুক্ষন পর দেখলো নীল শাড়ী পড়া
একটা পরী আসছে অসম্ভব সুন্দর ।
আকাশ মেয়েটাকে দেখে হা করে তাকিয়ে
রইলো । মেয়েটা তার দিকেই আসছে
কিন্তু আকাশের শুধু মেয়েটার অপরুপ
চোখের দিকে হা করে তাকিয়েই আছে ।
মেয়েটা ছিলো রিচি । আকাশ কে দেখেই
চিনতে পেরেছে । আকাশের কাছে এসে হা
করে থাকতে দেখে হেসে ফেললো রিচি ।
তারপর দু জনের মাঝে অনেকক্ষণ কথা
হলো । রিচি আকাশ দের পাশের বাড়িতে
নতুন এসেছে তাও বললো । আকাশ বার
বার রিচির মায়াবি চোখের দিকে
তাকাচ্ছে । মনে হচ্ছে আকাশ রিচির
প্রেমে পড়ে গেছে । আকাশ চিন্তা
করছে কিভাবে রিচি কে বলবে
ভালোবাসি কথাটা ।
-
এরমধ্যে আকাশ পড়ালেখা শেষ করে
সেনাবাহিনী তে অফিসার ক্যাডেটে
চাকরি পেলো । এদিকে রিচির সাথেও
যোগাযোগ কমে গেছে । আকাশ একদিন
ছুটি তে বাড়িতে আসে এবং ইতিমধ্যে
তার মা-বাবা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে ।
আকাশ তার মা কে রিচির কথা বললো
এবং তার মা শুনেই ওইদিন বিকেলে
রিচির বাড়ি প্রস্তাব নিয়ে যায় ।
রিচির মা-বাবাও রাজি হলো । রিচি রা
গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠান করবে, তাই
গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে । এরমধ্যে
আকাশের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে
সম্পর্ক হলো রিচির । একজন
আরেকজনের সাথে কথা বলা ছাড়া এক
মুহুর্ত থাকতে পারে না । শাসন বারনও
বেশ চলছে । । সকল কিছুর অবসান
ঘটিয়ে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে
হলো তাদের । আকাশ-রিচি গাড়িতে
করে আসছে , কথা বলছে দু জনেরই
লজ্জা চোখে তাকাচ্ছে একজন
আরেকজনের দিকে । এসময় একটি লরি
এসে ধাক্কা মারে তাদের গাড়িকে । কিছু
বুঝে উঠার আগেই ঘটে যায় ঘটনাটি ।
আকাশ ও রিচি গুরুতর আহত । তবে
রিচি একটু বেশি আহত, রিচির দুই চোখ
গাড়ির কাচ পরে নষ্ট হয়ে গেছে ।
আকাশ এই কথা শুনে পাগলের মতো
প্রায় । এরপর ডাক্তার বললো কেউ
চোখ দান করলে রিচি দেখতে পাবে
আবার ।
-
কাউকে কিছু না জানিয়েই আকাশ
ডাক্তারের সাথে কথা বলে রিচিকে তার
নিজের একটি চোখ দিয়ে দেয় । রিচি
সুস্থ হবার পর জানতে পারে আকাশই
তাকে চোখ দিয়েছে । এই কথা শুনে
কান্না করছে খুব রিচি । আকাশ এসে
রিচিকে জড়িয়ে ধরে বলে পাগলি খুব
ভালোবাসি তোমাকে । আমার
ভালোবাসার মানুষ আমাকে দেখবে না তা
কি করে হয় বলো ।
-
আসলে এটাই সত্যিকারের ভালোবাসা
♥ ♥ ♥
:হ্যালো রিফাত।
:হা বল।
:কই তুই
:বাসায়।
:গল্প লিখছিস?
:কিসের গল্প?
:তো কে বললাম না কালকে
: ও ,না এখনো লিখিনি
: কালতো ফেসবুকেও ছিলিনা
কি করলি তাহলে?
: এসাইনমেন্ট
রেগে গিয়ে দুম করে
ফোনটা রেখে দিল সে ,এত করে বলেছে
লিখতে কোন গুরুত্ব নেই,,আসুক
আজ ক্যাম্পাসে।
এতক্ষণ কথা হচ্ছিল নিধি আর
রিফাতের
মধ্যে। দুজনেই স্কুল জীবন থেকে খুব
ভাল
বন্ধু।দুজনেই একি ভার্সিটিতে পড়ে।
ইদানিং নিধি রিফাতকে আবদার করছিল
একটা গল্প লিখতে “ভালবাসার গল্প”।
কিন্ত
রিফাত পারে না তেমন গল্প লিখতে।
সে লিখে একটা পোষ্টম্যানের
গল্প,একজন
পথশিশুর গল্প।এইসব ভালাবাসার গল্পে
সে
একেবারে অজ্ঞ। তাই নিধির আবদার
পূরণ
করতে পারেনা।
যাইহোক,
রিফাত ভয়ে ভয়ে ক্যাম্পাসে গেল।সে
একেবারে অপ্রস্তুত নিধির সাথে দেখার
জন্য। না জানিনা আজ কত কথা শুনতে
হবে
তাকে।কিন্তু সে কোথাও নিধিকে দেখতে
পেলনা।তাই ক্লাসে বসে খাতা বের করে
একটা ভালবাসার গল্প লিখার ব্যর্থ
চেষ্টা
করছে।
এমন সময় ক্লাসে নিশু উপস্থিত।
:রিফাত!!!!!(নিশু)
:হা বল।(রিফাত)
:স্যার তোমাকে ডাকছে।
:আসছি।
রিফাত জানে স্যার কেন তাকে ডাকছে।
স্যারের কাছে নিশুর সাথে গেলে নিধি
দেখলে রিফাতের ১২টা বাজাবে। তাই
সে
নিশুকে বলল-
:আমি আসছি তুমি যাও।
-আচ্ছা।
স্যারের রুমে যাওয়ার আগে চট করে
ভেবে
নিল নিধিকে একটা ফোন করবে কি না।
ফোনটা বের করে দেখে সুইচড অফ। মন
খারাপ করেই স্যারের রুমে গেল সে।
স্যারের সাথে আলাপ শেষ করতে করতে
প্রায় দশটা বেজে গেলো ।
নিশুর সাথে দ্রুত বের হতে গিয়ে
খেয়াল করলো
নিধি সামনেই দাড়িঁয়ে….
:একি,কখন এলি? (রিফাত)
:এক ঘন্টা আগে। (নিধি)
: ও,আসলে ফোনে চার্জ ছিলনা তাই
ফোন
দিতে পারি নাই।(রিফাত)
(নিধি বিড়বিড় করে বললো”নিশু ত
তোর
সাথে ছিল”)
:কিছু বললি?(রিফাত)
: না,তোরা কথা বল,আমি আসছি।
বলেই হনহন করে হাটাঁ দিলো নিধি,
আর কোন কথা বলা বা শোনার
প্রয়োজন না
করে
এখন কি করবে রিফাত?
একবার ফোন করে
দেখবে সে উপায় ও
তো নেই
যাবে একবার ওকে
খুজঁতে? না থাক,
রাগ কমে গেলে এমনিই ছুটে চলে আসবে
কাছে
এসব ভাবতে ভাবতে
রিফাত গল্পটা লিখতে
শুরু করলো।
…..কিন্তু কিছুই লিখতে
পারছেনা,,গল্পতো
দূরে থাক,কলমটাকেই বড় ভারী মনে
হচ্ছে।
বারবার নিধির
মুখটা ভেসে উঠছে সামনে, খুব জানতে
ইচ্ছে করছে রেগে গিয়ে বিড়বিড় করে
কি বলছিল তখন। এসব সাতপাচঁ ভাবছে
আর
নিজে নিজে অবাক হয়ে যাচ্ছে সে নিধির
কথা এত ভাবছে কেন?
একবার অন্য
কারো ফোন থেকে
ফোন করে দেখবে?
না থাক
গল্পটা না লিখেই
উঠে পড়লো সে,
কেমন যেন লাগছে
তার
প্রথমে যখন নিধিকে দেখতে পেয়েছিলো
স্যারের রুমের সামনে বিব্রত হয়েছিল
সাথে
নিশু আছে দেখে,
নিধি কেমন অভিমানী চোখে
তাকিয়ে ছিলো! কি
আছে ঐ চোখে?শুধুই কি
অভিমান?নাকি
কোন জিজ্ঞাসা?
.
তার ভাবনার সুতো
ছিড়েঁ গেল নিধিকে
দেখতে পেয়ে
ঐতো নিধি,
কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো
: এখানে?তোকে
খুজঁছিলাম যে।
নিধি কিছু বলতে
যাবে এমন সময়
নিশুর ডাকে পেছন ফিরল রিফাত
: এসাইনমেন্টগুলো জমা দিয়ে
আসছি,তোমারটাও নিয়ে গেলাম। (নিশু)
রিফাত মাথা নেড়ে সায় জানালো ..........
আর নিধি?
মনে মনে রাগছে আর বলছে”কি দরকার
ছিল
এত
চেচিঁয়ে বলার?
আর কারো বুঝি
ক্লাসমেট থাকেনা?
মনের রাগ মনে চেপে রেখে সে বললো
“আজ বুঝি খুব
ব্যস্ত! থাক গল্প
লিখতে হবেনা”
: লিখব তো,আজকেই লিখবো
: লিখা হলে বলো,
আমি যাই
: কোথায়?তোর ক্লাসতো
বারোটায়,এখন
গিয়ে কি করবি?
: ফেসবুকিং। নিরব শিশির ঐ আইডিটার
সাথে প্রেম করবো।
…বলেই নিধি চলে
গেলো
মেজাজটা ফোর্টি নাইন করে রিফাত
এলো
বাসায়,,
এসেই ঢুকে পড়লো ফেসবুকে,খুব বাড়
বেড়েছে
আইডিটার।
….নিধি ফেসবুক
নিয়ে দশটা কথা বললে আটটা কথাই
বলবে
ঐ নিরবকে
নিয়ে, আরে বাবা ফেসবুক কি শুধু
চ্যাটিং এর জন্যে
নাকি?
নিধির ফ্রেন্ডলিস্টে গিয়ে খুব অবাক
হল
সে,
নিরব নামের কোন আইডিই
নেই। অথচ কত কথা শুনিয়েছে
নিধি,নিরব
ভালো লিখে,স্মার্ট,,,ইত্যাদি ইত্যাদি।
নিধি কি বলবে একবার নিরবের আইডি
লিংকটা দিতে?
না থাক,আরেকটু খুজুঁক সে।কিন্তু কি
ভেবে
নিধিকে ফোন দিয়ে ফেললো -
: এতক্ষনে সময় হল ফোনটা অন
করার?
: না মানে,গল্প লিখছিলাম,,জানিন
া তোর
নিরবের মত হল কি না
: হঠাত নিরবের কথা বলছো যে?
: না,,এত মেধা,এত ভালো লিখে
: গল্প লিখতে মেধা নয়,মন দরকার
: ও
: তুমি লিখেছো গল্প?
: হুম্
নিধি খুশি হয়ে বললো সত্যি?
: হুম কি আশ্চর্য! নিধি খুশি দেখে ইচ্ছে
করছে গল্প লিখতে,হোকনা কোন বোকা
বোকা গল্প
: কাল আসিস,পড়ে শোনাবো....
পরদিন সকালটা যেন আর কাটতে
চাইছেনা
রিফাতের,কখন আসবে নিধি?
ভাবতে ভাবতেই এলো সে
: কৈ তোমার গল্পটা?
: হুম,এইতো,সাথে একটা চিঠিও
আছে,চিঠিটা আগে পড়ে দেখতো কেমন
হয়েছে
: দাও পড়ি
: তুই পড়,পড়ে বলবি কেমন হয়েছে?
আমি একটু
আসছি
সে চলে যেতেই
নিধি কাগজটা খুলে
পড়তে শুরু করলো
“জানি অবাক হবে
চিঠিটা পড়ে,কি অবাক হলে তো?
তোমাকে তুই করে বলছিনা দেখে?আমি
নিজেও কি কম
অবাক হয়েছি বলো?সেই ছোটবেলা যখন
স্কুল পিকনিকে
গিয়েছিলে আমাকে
রেখে,খুব রাগ হয়েছিলো বয়েজ
স্কুলে পড়ি বলে,
সেদিন ফুটবল খেলতে যাইনি
আমি…..কেন
যাবো বলো?সেদিন ঠিক
বুঝেছিলাম আজ
বাড়ি ফিরলে কেউ
ভেঙচি কাটবেনা এই বলে যে কেন হালি
হালি গোল খাই?তারপর কলেজে এসে
মনে
হল সব
ছেলেমানুষী,,কিন্তু
নবীনবরণে তোমায়
যখন সৌমিক বলেছিলো”পরীর
মত লাগছে”….ওকে
খুন করতে ইচ্ছে হয়েছিলো,সেদিন
ভেবেছিলাম মুভি
দেখে এসব শিখেছি,,তারপর
সব ভুলে গিয়ে দুজনে
ক্যাম্পাসে এলাম.
আলাদা ডিপার্টমেন্ট দেখে
খুব খালি খালি
লাগছিলো প্রথমদিন ক্লাস
করতে গিয়ে,,,,,
আর আজ?আজ
তোমার জন্য গল্প
লিখতে এসে অনেকবার থমকে গেছি।
ভালবাসার অঙ্কে আমি কাচা। তাই
ত…....”
আর পড়তে পারছেনা নিধি,, ক্রমশ
ঝাপসা
হয়ে আসছে চোখ,নিজের চোখকে বিশ্বাস
করতে পারছেনা সে…কি
পড়ছে এটা?বোকা
রিফাতটা কোথায় চলে গেলো কাগজটা
ধরিয়ে দিয়ে?এত কথা চিঠিতে বলে
কেউ?এখন কোথায়
খুজঁবে ওকে?
জানে,রিফাত কোথায়
গেছে…
গুটিগুটি পায়ে চলে
এলো নিধি,বসে
পড়লো রিফাতের পাশে
: পড়েছি
:কেমন হয়েছে?
:খুব সুন্দর…কে বলেছে তুমি অংকে
কাচাঁ?খুব
হিসাব করতে পারো তো!
রিফাত অন্যদিকে তাকিয়ে আছে বলে
নিধির চোখের জলটা দেখতে
পাচ্ছেনা..মুখ
ফিরিয়ে সে তাকালো নিধি
জলভরা চোখে,
আর কি আশ্চর্য!
রিফাতের চোখেও
টলমল করছে জল
সে দুহাতে নিধির
চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বললো
:অংকটা ঠিক আছে তো?জানি অনেক
দেরী
হয়েছে?নাম্বার পাবো তো ম্যাডাম?
:হুম,পাবে,তবে একটা শর্ত আছে,পরের
অংকগুলো একসাথে করবো।
আকাশটা একটু আগে মেঘে ঢাকা
ছিলো,এখন মেঘ সরে গিয়ে ঝলমলে রোদ
উঠেছে, যে রোদে শিশিরের কোন আশ্রয়
নেই।
.
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]
~¤~ভাল লাগলে আশাকরি লাইক nd share দিয়ে
আপনার অনুভূতি কমেন্টে জানাবেন ।
Post By KH MUNNA
1 comment:
https://bengali-love-shayari.blogspot.com/
Post a Comment